“প্রচারবিমুখ”

 

ছবি – সৈনিক রাজু ইসলাম।

মোঃ জহিরুল ইসলাম


মানুষ হিসেবে আমি ভীষণ প্রচার বিমুখ,
ভালবাসি কতটা তুমিও জানবেনা কোনদিন।
অন্তরে তোমায় করেছি লালন,
বাহ্যিক প্রচারে কি আসে যায় !

তোমায় কতটা ভালবাসি বুঝতে পারি,
যখন একা একা করিডোরে বসে থাকি।
কল্পনায় বৃক্ষ শাখা প্রশাখায় তোমার ছবি আঁকি।
যখন রাতটা নির্ঘুম কাটে তখন বুঝি তুমি কি।

তুমি হয়তো কখনোই জানবেনা।
আধার হলে কিভাবে তোমায় হাতরে বেড়াই।
কেউ জানবেনা, তুমিও না।
এটা শুধু আমিই জানি, আমিই জানবো।

সেদিন বৃষ্টি হয়েছিল ভর দুপুরে, ভারী বর্ষণ।
যেমনটা হয়েছিল আমাদের বিবাহের দ্বিতীয় দিন।
আমি খুব বেশি, খুব বেশি ছটপট করছিলাম।
যদি তুমি পাশে থাকতে, কত গল্প হত।

একটা শীতের সকাল আমাকে প্রচন্ড নাড়া দেয়।
একই চাদরে দু’জন আশ্রয় নিয়ে উষ্ণতা ভাগ করেছি।
এ উষ্ণতা কতটুকু বিস্তৃত, কত অমূল্য, কত আরাধ্য ধন আমি বিনে কেউ জানবে না।
কাউকে বললেও সে তার গভীরতা কখনোই বুঝতে পারবে না।

দুজনের লুকোচুরি খেলা আর খেলার ছলে কাতুকুতু দিয়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার যে অমৃত স্বাদ তা আমার বাহিরে কেউ বুঝতে পারবে না। তুমিও হয়তো নিছক খেলাই মনে কর।

এ কথা, এ আবেগ প্রচার করে কি হবে!!
ভালবাসি এটাই সত্যি।
বাজারজাতকরণের এ যুগে সবকিছুর প্রচারের প্রয়োজন হয়।
কিন্তু আমার ভালবাসাটা বাজারের পণ্য নয়।
প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপনের দরকার নেই।
প্রচার যতটুকু হবে এ অন্তরেই হবে।