প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে (পিপিএম-সাহসিকতা) পদক পেলেন এসআই মহসিন চৌধুরী

আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :

প্রধানমন্ত্রীর থেকে প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম- সাহসিকতা) পদক গ্রহণ করলেন কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই মহসিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪’ এর অনুষ্ঠানে মহসিন চৌধুরীকে এ পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৩ সালের গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদান রাখার জন্য তাকে বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানজনক এই (পিপিএম- সাহসিকতা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই তার এই অনন্য সাফল্য স্বরূপ পুরস্কার পিপিএম পদকে ভূষিত হওয়ায় তার সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং তার নিজ জন্মনিবাস চন্দনাইশের সর্বস্তরের জনগণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে অতীতের মতো আগামী দিনেও দেশ ও জাতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন এই দোয়াও করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

এক প্রতিক্রিয়ায় এসআই মহসিন চৌধুরী বলেন, আমি সর্ব প্রথমে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। প্রতিটি পুরষ্কার মানুষকে ভালো কাজের অনুপ্রেরণা যোগায়। মানুষের কল্যানে আমৃত্যু কাজ করাই তার জীবনের একমাত্র নেশা ও পেশা। এই পেশাটি একটি ব্যতিক্রমী এবং চ্যালেঞ্জিং পেশা। আমি এই মহৎ পেশাটিকে নৈতিক আর্দশ ও দেশপ্রেম নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ে উপভোগ করছি এবং সার্বক্ষনিক দেশসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছি। পিপিএম পদক আমাকে আমার পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি বিশ্বাস ও আত্মশক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারসহ সকল সিনিয়রদের যাদের সার্বিক সহযোগিতা এবং দিক্- নির্দেশনায় তিনি এ পদকে ভূষিত হয়েছেন।

এছাড়াও তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যারা সকল কাজে তাদের অকৃত্রিম ভালবাসা, অগাধ বিশ্বাস ও অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে সার্বক্ষনিক অনুপ্রেরণা যুগিয়ে তাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে প্রথম বারের মত পদক গ্রহনের বিষয়টি সত্যিই পরম সৌভাগ্যের এবং অনাবিল আনন্দের বলে জানিয়ে সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, এসআই মহসিন চৌধুরী ২০০৩ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করেছেন। নিজের মেধা ও বিচক্ষণতা দিয়ে সমাধান করেছেন একাধিক মামলার জট।

তার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০১৭ সালে আইজি ব্যাজ, লক্ষীপুর জেলায় ৩৮ বার পুরষ্কার লাভ করেন। এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চলে আসেন সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে। এখানেও তিনি স্বাক্ষর রাখেন তার বিচক্ষণতার। সততা নিষ্ঠায় তিনি অল্পদিনে ভরসার নাম হয়ে ওঠেন। যার ফল হিসেবে কক্সবাজারে যোগদানের ১৪ মাসের মাথায় ২০২২ সালে আবারো পান আইজি ব্যাজ। এছাড়াও কক্সবাজার জেলায় ২৯ মাসে ২৫ বার শ্রেষ্ঠত্বের পুরষ্কার পেয়েছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এবার ঘোষিত হয়েছিলেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক “প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল” এ। এটি একটি বিরল সম্মাননা। তার জন্ম চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানাধীন কানাই মাদারী গ্রামে। ৪ বোন ১ ভাইয়ের সংসারে মা-বাবা দুই জনই পৃথিবীতে বেঁচে নেই।