মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •

মহামারি করোনা সংক্রমন (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন’র নেতৃত্বে জনসচেতনতা তৈরী করার জন্য মাইকিং,মাস্ক বিতরন চলছে। আর যারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নিজের ইচ্ছামত ঘুরাফিরা করছে। সেই অচেতন ব্যাক্তিদের কাছ থেকে মোবাইল কোট পরিচালনা করে আদায় করা হচ্ছে জরিমানা।

২১ মার্চ (রবিবার) বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টান ও সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী দুটি জাহাজে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একদিনে ৩৯ টি মামলা দেওয়া হয়েছে।

তথ্য সুত্রে জানাযায়, ২১ মার্চ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহামারি করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে দুইটি টিম টেকনাফ পৌরসভায় মোড়ে মোড়ে অভিযান পরিচালনা করেন। পাশপাশি বাড়িয়েছে বিশেষ স্থানে নজরদারি। এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট আবুল মনসুর, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, পরির্দশক (অপারেশন) খোরশেদ আলম প্রমুখ।

অভিযানকালে ইউএনও পারভেজ চৌধুরী জানান, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় স্বাস্থ্যাবিধি না মানায় দুই শতাধিক গাড়ীর চালকসহ পথচারীকে মাস্ক পরিদান করা হয়। এছাড়া ৩৯টি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সাড়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহি দুইটি জাহাজকে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা আদায় করা হয়।

করোনা সংক্রামন রোধে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা আরো জানান, করোনা আতংক নয়, সচেতন থাকলেই এর সংক্রমন হতে বাচাঁ যায়। বিশেষ করে এ বিষয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে গণমাধ্যমকেও এগিয়ে আসতে হবে ।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট আবুল মনসুর জানান, করোনা প্রতিরোধে ও স্বাস্থবিধি রক্ষায় সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহি দুটি জাহাজে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রতিরোধ, নির্মুল ও নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এ দুইটি মামলায় দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও জনসচেতনতায় এ অভিযান অব্যাহত