মিয়ানমারের ২২২টি সিমসহ তিন রোহিঙ্গা আটক

গিয়াস উদ্দিন ভুলু • কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে সু-কৌশলে পাচার করার সময় মিয়ানমারের তৈরী ২২২টি সিমসহ সীমান্ত এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িত তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।

১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে,টেকনাফ স্থল বন্দরের প্রধান গেইটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় পুলিশ তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

আটক রোহিঙ্গারা হচ্ছে, মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলার মাঝি মংডু বুচিডং এলাকার নুরুল আলমের ছেলে নুর হাসান(২২).টেকনাফের নয়াপাড়া মুচনী রোহিঙ্গা শিবিরের হোসনের ছেলে সলিম (২৬) ও উখিয়া জামতলী রোহিঙ্গা শিবিরের মেহের শরীফের ছেলে রবি আলম(২২)।

পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্য সুত্রে জানা যায়, টেকনাফ স্থল বন্দরে মিয়ানমারে থেকে আসা ট্রলার করে বাংলাদেশের আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ব্যবহার করার জন্য সিম গুলো পাচার হয়ে আসছিল।

সেই সূত্রধরে মঙ্গলবার টেকনাফ স্থল বন্দরকে ব্যবহার করে সু-কৌশলে মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলার মাঝিসহ তিন রোহিঙ্গা সিম গুলো নিয়ে বন্দর থেকে বাহির হওয়ার সময় বন্দর নিরাপত্তা কর্মিরা এই তিন রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এরপর খবর শুনে থানা পুলিশের এসআই সাব্বিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছলে বন্দর কর্তৃপক্ষ আটক তিনজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় তাদের সাথে থাকা ব্যবহার সামগ্রী ও শরীর তল্লাশী করে মিয়ানমারের তৈরী ‘এমপিটি’ নামক ২২২টি সিম উদ্ধার করা হয়।

সংবাদের সত্যতা নিশ্চত করে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তপক্ষের সহযোগীতায় মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসা সেই দেশের তৈরী ২২২টি মোবাইল সিমকার্ডসহ তিন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে এই তিন

অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহন করা হবে।
এদিকে টেকনাফ-উখিয়া এই দুই উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত অসাধু রোহিঙ্গাদের নানা প্রকার অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ক্যাম্পের আওয়তাধীন মোবাইল নের্টওয়াক বন্ধ করে দেয়।

কিন্তু রোহিঙ্গারা তাদের নানামুখি অপকর্ম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে যোগযোগ সক্রিয় রাখতে এখন তারা মিয়ানমার থেকে সিম এনে মোবাইল ব্যবহার করা অব্যাহত রেখেছে। তারা মিয়ানমারের তৈরী এই সিম গুলো সংগ্রহ করে পাচার করার জন্য সু-কৌশলে টেকনাফ স্থল বন্দরকে বেঁচে নিয়েছে।