রোগীর বদলে অ্যাম্বুলেন্স ভর্তি মদ!

ডেস্ক রিপোর্ট – ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মদ পরিবহণের সময় আটক করা হয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। আটক হওয়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে ৯৪৫ লিটার মদ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটির চালক শহীদুল ইসলামকেও।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে। এদিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থানায় ধরনা দিচ্ছে এ মাদক ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। নিজেদের মদ দাবি করে তারা বলছে আটক করা এ মদ বৈধ।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ মোল্লা জানান, দুপুরে ময়মনসিংহ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিল। মুক্তাগাছা সদরে পৌঁছলে এসআই আলী আজহারের নেতৃত্বে থাকা একদল পুলিশের সন্দেহ হলে সেটি আটক করে। তল্লাশি করলে রোগীর বদলে ভেতরে দেখা মেলে ৩৫ টি প্লাস্টিকের কন্টেইনার। প্রত্যেকটি কন্টেইনারে পাওয়া যায় বাংলা মদ। পরে পুলিশ সেটিকে থানায় নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর মুক্তাগাছা থানায় গিয়ে এসব মদ বৈধ দাবি করে মদসহ অ্যাম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু বৈধ কাগজ ছাড়া পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স, মদ এবং চালককে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। ওসি জানিয়েছেন, বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অ্যাম্বুলেন্সের চালক শহীদুল ইসলাম জানিয়েছে, সে ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ থেকে ৯৪৫ লিটার বাংলা মদ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পোড়াপাশা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানকার মো. রনি মিয়া ওই মদের মালিক।