সীমান্তে উত্তেজনার সুযোগে ইয়াবা পাচার

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল :

মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত চলমান রয়েছে। প্রতিদিন সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে। সীমান্তের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও থেমে নেই মাদককারবারিরা। সীমান্তে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মায়ানমার থেকে নিয়ে আসছে মাদকের বড় বড় চালান। তবে নজর এড়াতে পারেনি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির। আটক করা হয়েছে তিন লাখ ইয়াবার বড় চালান।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের সাবরাংয়ের জিন্নাহ খাল এলাকা থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় কোনো পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীন দুটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল সাবরাংয়ের এলাকায় ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি টহলদল বেড়িবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে এবং অপর একটি টহলদল নাফ নদীতে নৌ-টহলরত অবস্থায় থাকে।

এসময় চার ব্যক্তিকে একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকা যোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে আনুমানিক ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জিন্নাহ খাল নামক এলাকায় নাফ নদীর কিনারায় নৌকা থেকে কিছু বস্তা নামাতে দেখে। গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দ্রুত নৌকা নিয়ে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টহলদল উল্লিখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি চালিয়ে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া দুটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে তিন লাখ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এসময় কোনো চোরাকারবারি কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
####