২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ, আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ

অনলাইন ডেস্ক •

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ এ রূপ নিতে পারে।

সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় আগামী ২৬ মে নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার উপকূল এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ঝড় মোকাবিলায় ঢাকায় প্রস্তুতি কর্মসূচির পলিসি কমিটির সভাসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নেওয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আন্দামান সাগর ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টারর মধ্যে বআন্দামান ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। এর প্রভাবে আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ মে সারাদেশেই বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায়।

তিনি বলেন, লঘুচাপটি যদি শক্তিশালী হয়ে ওঠে তাহলে আগামী ২৬ মে বাংলাদেশ ও ভারতের উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি কর্মসূচির পলিসি কমিটির সভা শনিবার (২২মে) বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সভায় সভাপতিত্ব করবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। সিনিয়র তথ্য অফিসার সেলিম হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। যেমন ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এবং ওমান। ওই প্যানেলকে বলা হয় ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ওমান। ফারসি শব্দ ইয়াশ এর অর্থ জেসমিন বা জুঁই ফুল।

এদিকে সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্যোগের আগে, দুর্যোগের সময় এবং দুর্যোগের পরবর্তী করণীয় নিয়েও সভায় আলোচনা করা হয়।

সভায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএমএস মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ সাতক্ষীরা-খুলনা উপকূলে মে মাসের শেষ সপ্তাহে আঘাত হানতে পারে। সে ধরনের পূর্বাভাস দেখেই আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি সভা করেছি। এটি আমাদের আগাম প্রস্তুতি। আমরা প্রস্তুত আছি কিনা সেটি বোঝার জন্য।’