উখিয়ায় ভোটার হালনাগাদ তালিকায় রোহিঙ্গা ঠেকাতে মরিয়া প্রশাসন

বিশেষ প্রতিবেদক :

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের গত কাল রোববার থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভোটার তালিকায় অন্তভূক্তির জন্য বিভিন্ন শ্রেণির যুব সমাজ তথা অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের ভোটার করার জন্য বেশ তৎপর হয়ে উঠতে দেখা গেছে। সৃষ্টি হয়েছে একটি উৎসব মুখর পরিবেশ। তবে পরিপূর্ণ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। বেশিরভাগ ভোটাদের অভিযোগ, নিবন্ধনের অভাবে তারা ভোটার তালিকায় অন্তভুক্তির আশা এক প্রকার ছেড়ে দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ৬১জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১৪ জন সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। যাতে ভোটার তালিকায় ভূল-ক্রমে বা প্রভাবিত হয়ে কোন রোহিঙ্গা নাগরিক ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্তি হতে না পারে। উখিয়া টেকনাফ নির্বাচন অফিসার মো: বেদারুল ইসলাম জানান, ২৪ প্রকারের তথ্য উপাত্ত সম্বলিত সনাক্তকারী ভোটার হতে ইচ্ছুক ০১.০১.২০০৪ইং সালে যেসব ছেলে মেয়েদের জন্ম হয়েছে তাদেরকে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হবে। তবে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্তির ব্যাপারে কেউ যদি সহযোগীতা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের দেওয়া হয়েছে।

রাজাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কর্মরত তথ্য সংগ্রহকারী মাষ্টার ফরিদ আলম জানান, তিনি তথ্য সংগ্রহের ১ম দিন অর্থাৎ গতকাল রোববার সকাল থেকে প্রায় ৫০টি পরিবারে স্ব-শরীরে গিয়ে সয়ং-সর্ম্পূন তথ্য উপাত্ত্ব না থাকার কারনে একজন ভোটারকেও রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেননি। তিনি বলেন, বেশিরভাগ ভোটার নিবন্ধন অভাবে ভুগছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, ২০১৭ সালে ২৫ শে আগস্ট এ দেশে রোহিঙ্গা আগমনের পরপরই নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উধ্বর্তন মহলে বেশ কয়েকবার তদবির করেও কোন কাজ হয়নি। জন্ম নিবন্ধন জট খোলার ব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরে আলোচনা করেছেন। তথাপিও কোন কাজ হয়নি।

ভোটার তালিকা যাচাই বাছাই কমিটির আহবায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যাতে রোহিঙ্গা নাগরিক অর্ন্তভুক্ত হতে না পারে। সে ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক তথ্যাবলী সম্বলিত ফরম সরবরাহ করেছে। তারপরও কেউ যদি রোহিঙ্গাদের সহায়তা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।