কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের টিকিট জালিয়াতি

উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা!

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন গামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারী নতুন নয়। অভিযোগ আছে- জাহাজটির একাধিক কর্মকর্তাও এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে নিরীহদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের বিপনন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন অভিযোগ করেন ক্যাপ্টেন ট্যুরিজম বিডির কর্নধার মো. নাজমুস সাকিব।

তার দাবি- কর্ণফুলি ক্রুজলাইনের একজন টিকেট বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে সকলের কাছে সমাদৃত এবং সুপরিচিত।আমি টিকেট বিক্রির অনুমতি গ্রহনের সময়ে আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, আমার ট্রেড লাইসেন্স, আমার ভিজিটিং কার্ড কর্নফুলি ক্রুজকে প্রদান করি এবং তারা এটা যাচাই-বাছাই করে আমাকে এজেন্টশীপ প্রদান করেন।

দীর্ঘদীন ধরে সুনামের সাথে আমি ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছি, দেশি-বিদেশী পর্যটককে কক্সবাজার ভ্রমণে উৎসাহিত সহ তাদের পরিকল্পিত ভ্রমণে আমার প্রতিষ্ঠান ক্যাপ্টেন ট্যুরিজম বিডি নিয়মিত কাজ করছে।

এছাড়াও আমি একটি জাতীয় ফেডারেশন এর অধীনে, তার ক্রাব সংগঠন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেল ওয়ার্কার্স এমপ্লয়ীজ ফেডারেশনের বর্তমান আহ্বায়ক হিসেবে বিগত ০১ বছরের অধিক সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার সাথে ট্যুরিজম উন্নয়নে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। যার ফলশ্রুতিতে ট্যুরিজম উন্নয়নের সকল দেশী-বিদেশী কার্যক্রমের সাথে নিয়মিত আমার পথচলা হয়।

গেল ০৮-০৩-২৪ইং, শুক্রবার কক্সবাজার জার্নালে আমার নাম এবং ছবি ব্যাবহার করে সেন্টমার্টিনগামী টিকেট জালিয়াতি শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার করা হয়। যেখানে আমার ফেসবুকে ব্যাবহারকৃত ছবি এবং ফেসবুক থেকে আমার নাম সংগ্রহ করা হয়।সেই ধারাবাহিকতায় দৈনিক কক্সবাজার সংবাদ, দৈনিক দেশবিদেশ এবং দৈনিক সৈকত এ একই শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা হয় (আমার জানামতে)।

উল্লেখিত অনলাইন জার্নাল এবং পত্রিকার মাধ্যমে আমি জ্ঞাত হই, কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের প্রধান বিপনন কর্মকর্তা বাদী হয়ে, ৩ জনের নামে মামলা প্রদান করেন। যার মামলা নাম্বার ১০/১৫৮। সংবাদটি শুক্রবার প্রকাশিত হওয়ার কারনে এবং শুক্রবার-শনিবার সরকারী সাপ্তাহিক ছুটি থাকার কারনে আমি বিস্তারিত সংগ্রহ করতে পারি নাই। গত রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ এ মামলার এজাহার এবং বিস্তারিত সংগ্রহ করি।

যেখানে, আমার নামের আংশিক অংশ এবং আমার অজ্ঞাত এক ট্যুর এজেন্সির নামে মামলা সম্পাদন করা হয়েছে। যে ট্যুর এজেন্সির কথা মামলায় উল্লেখ আছে তার সাথে আমার ট্যুর এজেন্সির কোনপ্রকার সম্পর্ক নেই।

সকল সাংবাদিক ভাই-বোনদের এবং প্রশাসনের সকল সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, পত্রিকায় আমার নাম এবং ছবি সহ যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আপনারা মামলার বিস্তারিত দেখুন এবং যেসকল প্রমানপত্র মামলায় সংযুক্ত করা হয়েছে, তার সাথে আমার বা আমার প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পর্ক নেই।

কোন এক অতি উৎসাহী দুষ্ট চক্র, আমি ব্যাক্তি মোঃনাজমুস সাকিবকে সামাজিকভাবে হেও করার জন্য এবং ব্যাবসায়ীক সুনাম নষ্ট করার জন্য এই নোংরা কাজটি করছে, আমি কর্নফুলি কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি এই বিষয়টি পরিপূর্ন তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য।

অন্যথায় আমার নাম এবং ছবি ব্যাবহার করে, যে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার মাধ্যমে আমাকে সামাজিক-মানসিক এবং অর্থনৈতিকভাবে হেও করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবো।