হেলপ কক্সবাজার’র উদ্যোগে উগ্রবাদ ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে রি-ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

বার্তা পরিবেশক •

কক্সবাজারের রামুর ১১ টি ইউনিয়নের ২৫ জন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের (মসজিদের খতিব,ইমাম,ব্রাহ্মণ,ভান্তে) নিয়ে কোভিড-১৯, লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা এবং উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক রি-ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার হলরুমে হেলপ কক্সবাজার এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্টানে ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মোঃ ওসমান গণীর উপস্থাপনায় কোভিড-১৯, লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা এবং উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন দিক নিয়ে দিনব্যাপী বিষদ আলোচনা করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার সাদেকুল ইসলাম।

এতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দরা পূণরায় কোভিড-১৯, লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা এবং উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, উপরোক্ত বিষয় নিয়ে প্রথমবার নানান দিক জানার পর নিজ অবস্থান থেকে মানুষকে সচেতন করতে মসজিদে জুমা ও নামাজ শেষে, মন্দিরে, গীর্জায়, সভায় এবং বিভিন্ন সমাজিক অনুষ্ঠানে উগ্রবাদ ও সহিংসতার, নারী ও পুরুষের সমাজিক বৈষম্য এবং কোভিড-১৯ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে ঘরে ঘরে বার্তা পৌছানোর জন্য কাজ করেছি। যাতে মানুষের মাঝে সবসময় শান্তি বিরাজ করে।

তারা বলেন, এনজিও একটি সময়ের পর প্রকল্প শেষ হলে আমাদের কাছে বার্তা নিয়ে আসবে না। কিন্তু আমাদের সমাজকে আমাদেরই ভালো রাখতে হবে। তাই সবার মাঝে সম্প্রতি বাড়াতে হবে সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

সভায় বক্তারা বলেন, সমাজে সচেতনতার অভাবে মানুষ উগ্রবাদী বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়ার কারণে সহিংসতার বেড়েই চলছে এতে সম্প্রীতি কমে ঝামেলা বাড়ছে। তাই উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প কিছুই নেই। তাই সমাজের প্রতিটি অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। ছেলে-মেয়েকে বৈষম্য না করে সমান সুযোগ দিতে হবে।

হেলপ কক্সবাজার এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে নারীর জীবনমানে অকল্পনীয় পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এই সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা তো কমেইনি বরং নিত্যনতুন কৌশল ও পন্থায় নারীর প্রতি পাশবিকতা এবং নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে’।

পুরুষের পাশাপাশি সমানতালে এগিয়ে যাওয়া বা অধিকার বুঝে নেওয়ার লড়াইয়ে বিগত দুই দশকে দেশের নারীরা দারুণ এগিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে অনেকেই অর্জন করছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। তবে শত সাফল্য ও প্রশংসার গল্প থাকলেও নারী নির্যাতন বা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার ইস্যুতে এখনও কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।

তাই উগ্রতা ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এবং সমাজে নৈতিকতা ও অনৈতিকতা চিহ্নিত করার জন্য এধরনের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও লিঙ্গ ভিত্তিক নির্যাতিতদের সেবা নিশ্চিত করতে, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি গঠনের মাধ্যমে সম্প্রীতি বজায় রেখে সোহার্দ্ধপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

তিনি আশা করেন, এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিপদাপন্নরা উপকৃত হন এবং এখানে অর্জিত অভিজ্ঞতা সবার মাঝে ছড়িয়ে যাবে। এতে নির্যাতিতরা তাদের ন্যায্য অধিকার সর্ম্পকে সচেতন হয়। এতেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি কমে যাবে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা এবং উগ্রবাদ ও সহিংসতা।

পরিশেষে তিনি ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্ত থাকার বিভিন্ন কৌশল ও সর্বদা সরকারের বিধি-নিষেধ মেনে চলার অনুরোধ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাইন্যান্স এন্ড এডমিন অফিসার মোঃ ইউছুপ, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর সাইফুল ইসলাম সুইট প্রমুখ।