এতো রোগের মহৌষধ ‘খেজুরের গুড়’ জানতেন কি?

দেখতে দেখতেই শীত চলে আসছে। প্রকৃতিতে একটু একটু করেই অনুভব হচ্ছে শীতের আমেজ। পিঠা-পুলির উৎসব শুরু হয় শীতেই। আর পিঠা মানেই খেজুরের গুড়। খেজুরের রস থেকে তৈরি প্রাকৃতিক এ গুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকায় এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।

খেজুরের গুড়ে ওষুধি এমন অনেক উপাদান থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতের দিনে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এ গুড় রাখলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক খেজুরের গুরের উপকারিতাগুলো-

১. নিয়মিত অল্প করে এই গুড় খেলে শরীরে দীর্ঘক্ষণ শক্তি বজায় থাকে।

২. প্রতিদিন গুড় খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়, বদহজমজনিত সমস্যাও থাকে না। এছাড়া এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।

৩. খেজুরের গুড়ে থাকা ওষুধি উপাদান মাইগ্রেনের সমস্যা কমায়। যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত অল্প করে এ গুড় খেতে পারেন।

৪. সাধারণ নানা সমস্যা যেমন- শুকনো কাশি, ঠাণ্ডা, অ্যাজমা প্রতিরোধে খেজুরের গুড় দারুণ কাজ করে। এছাড়া জমে থাকা কফ সরিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ পরিষ্কার করতে এ গুড় ভূমিকা রাখে।

৫. পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খেজুরের গুড় শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে পানিপ্রবাহ ঠিক রাখে। এভাবে এই গুড় ওজনও কমায়।

৬. খেজুরের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে থাকা আয়রন শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রেখে রক্তশূন্যতা দূর করে। এছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ুর কাজও ঠিক রাখে।

৭. মেয়েদের পিরিয়ডকালীন পেট ব্যথা দূর করতে খেজুরের গুড় বেশ কার্যকরী।

৮. শরীর থেকে টক্সিন বের করে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে গুড়।

৯. শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে খেজুরের গুড়। ফলে নিয়মিত এই গুড় খেলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করতে সুবিধা হয়।

১০. গুড়ে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তের সঙ্গে দ্রুত মিশে যেতে পারে আবার রক্তে বেশি ক্ষণ থাকতেও পারে। তাই হঠাৎ গ্লুকোজ কমে যাওয়ার ভয় থাকে না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া