এ কেমন প্রতিহিংসার রাজনীতি!

মোঃ এনামুল হক আবির ◑

বিশ্বের প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতির মাঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে কম বেশি রেষারেষি আর প্রতিহিংসা প্রত্যক্ষ করা যায়।সে রেষারেষি আর প্রতিহিংসা হয় সহনশীল ও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে।

কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি তার সম্পূর্ণ বিপরীত।
বাংলাদেশে চল্লিশোর্ধ্ব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থাকলেও মুলত তিনটি রাজনৈতিক দলই জনগণের কাছে সুপরিচিত। এগুলো হল আওয়ামীলীগ, বিএনপি আর জামায়াত।

সাম্প্রতিক সময়ে এ তিনটি দলের রাজনীতি প্রতিহিংসার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।একদল আরেকদলের নামই শুনতে পারেনা।যেমন,বিএনপি জামায়াতের কাছে আওয়ামিলীগ নামটাই যেন অপবিত্র। যারা আওয়ামিলীগ করে তারা তো নাস্তিক,কাফের আরো কত কি!!আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধাচরণ করতে মুহুর্তেই একেকজন বিএনপি জামায়াত বড় মুফতি মুহাদ্দিস হয়ে যায়।আর নিজেরাই ফতোয়া দিয়ে আওয়ামিলীগ আদর্শ ধারীদের কাফের মুনাফেক বানিয়ে ফেলে।
কেন ভাই!! আপনারা কি আদৌ জানেন?কাফের মুনাফেক কাকে বলে?

সম্প্রতি আওয়ামীলীগেও এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনৈতিক ব্যক্তির উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ আপনাদের কি শিক্ষা দেয়!প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে?বঙ্গবন্ধু তো কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি।

আওয়ামিলীগে এমন অনেককেই দেখি বিএনপি জামায়াত মানেই তাদের জনম জনমের শত্রু।কেন ভাই!আমরা সবাই তো মানুষ! আমরা একে অপরের ভাই ভাই।

রাজনৈতিক মতাদর্শ সবার এক নাও হতে পারে।তাই বলে কেন আমাদের এত আক্রমনাত্মক হতে হবে!সবার আগে চিন্তা করতে হবে দেশটা আমাদের সকলের।দেশের সমৃদ্ধি মানেই আমাদের সমৃদ্ধি।

তাই আসুন,প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করি।রাজনৈতিক মাঠে সহনশীল আচরণ করি।একে অপরকে ভাই মনে করে কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে দেশের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।

ব্যক্তি স্বার্থকে বড় মনে না করে দেশের স্বার্থকে আগে প্রাধান্য দেই।তাহলেই সম্ভব আগামীর সোনার বাংলা বিনির্মান করা।