জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি রোধে বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের বিকল্প নেই : প্রণয় চাকমা

নিজস্ব প্রতিবেদক •

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য আমাদের সকলের প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে উৎপাদিত ফসলে অতিরিক্ত রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার হচ্ছে, যার কারণে খাদ্যের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই ক্ষতি রোধকল্পে বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের বিকল্প নেই।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রামু উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত “Safe food promotion in climate vulnerable area” Sensitization Meeting with government officers and private stakeholders শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইউএনও প্রনয় চাকমা আরও বলেন, চাষীরা শুধু সবজি চাষে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। মাছ, গবাদি পশু পালন, মুরগির খামারের ক্ষেত্রেও অর্গানিকভাবে উৎপাদনে বাড়াতে হবে। এসব কর্মকান্ডে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করায় ভিএসও ও সুশীলন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বাস্তবানকারী সংস্থা এনজিও সুশীলনের ডেপুটি ডিরেক্টর সচ্চিদানন্দ বিশ্বাস সতু বলেন, প্রাথমিকভাবে রামু উপজেলার ১০০ জন কৃষককে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পুরো জেলাজুড়ে এই কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সুশীলনের ডেপুটি ডিরেক্টর সচ্চিদানন্দ বিশ্বাস সতুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা এসিল্যান্ড রিগ্যান চাকমা, উপজেলা কৃষি অফিসার আবু মাসুদ সিদ্দিকী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মজুমদর।

সভার শুরুতে চলমান প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর প্রেজেন্টেশন করেন টেকনিক্যাল লিড (ভিএসও) দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ইমরান হোসাইন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আলী মো. হোসেন, রামু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, এনবি (ভিএসও) রিপন আলী, ফাইন্যান্স অফিসার সাগর রায়,
প্রজেক্ট অফিসার আনসারুল করিম তালুকদার, প্রজেক্ট অফিসার রিয়াদ মো. আরেফিন প্রমূখ।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ভলান্টিয়ারি সার্ভিসে ওভারসেস (ভিএসও) এর সহযোগিতায় রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে ১০০ জন কৃষককে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে যাবতীয় সহযোগিতা করে আসছে সংস্থাটি। যেটি বাস্তবায়ন করছে এনজিও সুশীলন। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে চারটি যুব ক্লাব। সেখানে ১২০ জন সদস্য রয়েছে। এছাড়া চারজন সামাজিক উদ্যোক্তাকে অর্গানিক খাদ্য বাজারজাতকরণের জন্য দুটি দোকান ও দুটি ভ্যানগাড়ি দিয়ে সহযোগিতা করেছে। পাশাপাশি কক্সবাজার শহরে অর্গানিক খাদ্য সরবরাহের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান চালু প্রক্রিয়াধীন।