চকরিয়ায় এক মাসে করোনা জয় করেছেন ১১৪ জন, সুস্থতার পথে আরো ৫৬ জন

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া ◑

কক্সবাজারের চকরিয়ায় করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এছাড়া সুস্থতার পথে রয়েছেন আরো ৫৬ জন করোনা রোগী। এ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর তুলনায় সুস্থতার হার অনেক বেশি। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রশাসনকে করোনার সংক্রমণ রোধে কার্যক্রম অব্যহত রাখতে হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

মঙ্গলবার (২ জুন) চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১ জুন) পর্যন্ত চকরিয়ায় ১৭২ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু বরণ করেছে দুইজন। ১৭২ করোনা রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১৪ জন। তাদের মধ্যে বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই সুস্থ হয়েছেন বেশির ভাগ রোগী।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আমির হামজা বলেন, চকরিয়া উপজেলায় সনাক্তকৃত ১৭২ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই সুস্থ হয়েছে ৭৬ জন। আর হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ জন। মারা গেছেন দুইজন।

তিনি আরও বলেন, মারা দুইজনকে তাৎক্ষণিকভাবে আইসিইউ বা ভেন্টিলেটর সুবিধা দেওয়া হলে সম্ভবত তারাও বেঁচে যেতে পারতো।

পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আমির হামজা বলেন, বর্তমান চকরিয়া ৫৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৩জন বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর বাকি ১৩ জন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন সুস্থতার পথে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোভিড-১৯ সম্বয়ক ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, চকরিয়ায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা চলছে প্রায় এক মাস হচ্ছে।

পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রোগীরাও আমাদের দেওয়া গাইডলাইন অনুসরণ করে চলেছেন। তাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন এসব করোনা আক্রান্ত রোগী।

তিনি আরও বলেন, একজন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হতে ১৪-১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। সেজন্য প্রাায় করোনা আক্রান্ত রোগীই একই সাথে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

ডা. মোস্তফা কামাল বলেন চকরিয়ায় আমরা যারা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি তারা খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, চকরিয়ায় করোনা আক্রান্তদের বেশিরভাগেরেই করোনা উপসর্গ নেই। তাই যাদের মধ্যে উপসর্গ কম অথবা একটু লক্ষণ দেখা যায় তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে রেখেই প্রতিনিয়ত যোগাযোগের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা রোগীদের মধ্যে কারো অবস্থা খারাপ হলে তাৎক্ষনাত তাদের হাসপাতালের আইসোলেশ ওয়ার্ডে নিয়ে এসে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।