ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে স্থানীয় দর্শনার্থীই বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক •

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের প্রায় এক কিলোমিটারে গতকাল শনিবার বিকেলে ছিলেন অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। সৈকতে বেড়াতে আসা এই মানুষদের বেশির ভাগই স্থানীয়। এবার কক্সবাজারের বাইরের পর্যটক খুব বেশি এখানে আসেননি।

সাগরের সুগন্ধা পয়েন্টের কয়েকটি স্থানে লাল নিশানা উড়ছিল। নিশানার আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন হলুদ রঙের টি-শার্ট পরা লাইফগার্ডের কয়েকজন। তাঁরা বাঁশি বাজিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করছিলেন গোসল করতে না নামতে। অনেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝাঁপ দিচ্ছিলেন উত্তাল সাগরের পানিতে।

সেখানে কথা হয় বেসরকারি লাইফগার্ড প্রতিষ্ঠান সি সেফের ব্যবস্থাপক সিফাত সাইফুল্লাহর সঙ্গে।

তিনি বলেন, গতকাল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈকতের সিগাল পয়েন্টে গোসলে নেমে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মো. আসাদ (২৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্রোতের টানে ভেসে যাওয়ার সময় অন্তত চারজনকে উদ্ধার করেছেন তাঁরা।

সুগন্ধা পয়েন্টের দক্ষিণে কলাতলী এবং উত্তর দিকের সিগাল ও লাবণী পয়েন্টের চার কিলোমিটারে আরও অন্তত ২০ হাজার মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সেখানেও কয়েকটি লাল নিশানা ওড়ানো হচ্ছিল।

লাইফগার্ডের সদস্য সিফাত সাইফুল্লাহ বলেন, বৈরী পরিবেশে সাগর এমনিতে উত্তাল; তার ওপর স্রোতের টান বেশি। সৈকতের লাবণী, সিগাল, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ছোট-বড় পাঁচ থেকে ছয়টি গুপ্ত খালের সৃষ্টি হয়েছে। গুপ্ত খালে আটকা পড়লে কাউকে রক্ষা করা কঠিন। তাই এসব এলাকায় গোসলে নামতে নিষেধ করে একাধিক লাল নিশানা ওড়ানো হচ্ছে। কিন্তু মানুষ সেদিকে নজর দেন না।

কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, সমুদ্রসৈকতে গতকাল ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ হলেও সেখানে জেলার বাইরে থেকে আসা পর্যটক ছিলেন মাত্র ১২ থেকে ১৫ হাজার। অথচ গত রোজার ঈদের ছুটিতে (সাত দিনে) প্রায় ৯ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটেছিল সৈকতে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে। এ ছাড়া পর্যটকদের হয়রানি রোধসহ নানা বিষয় তদারকির জন্য মাঠে আছেন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত।