জীবন বদলে দেয়া কিছু কথা

উক্তিকক্সবাজার জার্নাল ডটকম’র পাঠকদের জন্য    

আপনি কি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন? আপনি হতাশাগ্রস্ত? আপনি কি নিজেকে একজন ব্যর্থ মানুষ মনে করেন? নিজের কাজকর্ম নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট নন? তাহলে আপনি বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিদের উক্তিগুলো পড়ুন এবং তা মেনে চলুন। নিশ্চিতভাবে আপনার জীবন বদলে যাবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিন বলেছেন, তাঁর জীবনের উত্থানের পেছনে কাজ করেছে তাঁর বাবার তিনটি উপদেশ। তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন, মনে রেখো, কৃতজ্ঞতা ও ঋণ স্বীকার করা মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তুমি জীবনে যদি অন্যের জন্য ভাবো, অন্যকে দাও; তাহলে জীবনও তোমাকে নিয়ে ভাববে। তোমাকে অনেক কিছু ফিরিয়ে দেবে।

শি জিনপিন তাঁর বাবার উপদেশগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন।

তিনি ছোটবেলা থেকেই অন্যের কথা সব সময় ভাবতেন। কিভাবে অন্যের উপকার করা যায় তা চিন্তা করতেন। সত্যি সত্যিই জীবন তাঁকে বহুগুণ ফিরিয়ে দিয়েছে। তিনি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে পেরেছেন।
ভারতের মুকেশ আম্বানির নাম নিশ্চয়ই সবাই জানেন। তিনি বিশ্বের বড় ধনীদের একজন। তিনি বলেছেন, যার ওপর মায়ের আশির্বাদ আছে সে জীবনে সফল হবেই।

আমি নিজেও বিশ্বাস করি, মায়ের দোয়ার চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র আর হয় না। জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য মায়ের দোয়ার চেয়ে আর কোনো মহৌষধ নেই। যে সন্তান যতবেশি মায়ের দোয়া নিতে পারে সে জীবনে সন্তান ততবেশি সফলতা অর্জন করবে। মা প্রত্যেক সন্তানকেই সমান দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু যে সন্তান সবচেয়ে বেশি মাকে ভক্তি করেন, তাঁকে দেখভাল করেন, মায়ের প্রতি যত্ন নেন সেই সন্তানের ওপর মায়ের দোয়া বেশি থাকে। যার ঘরে মা আছেন কিন্তু সে মাকে অবহেলা করে তার মতো অভাগা সন্তান আর হয় না।
যাদের ঘরে এখনো মা জীবিত আছেন তাদের উদ্দেশে বলছি, কেউ মনের ভুলেও যদি মাকে অবহেলা-অসম্মান করে থাকেন তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিন। মাকে কখনোই কষ্ট দেবেন না। অবহেলা করবেন না। আপনি হয়তো অনেক বড় হয়েছেন; বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন। ভেবে দেখুন, তার পেছনে আপনার মায়েরই অবদান।

আমেরিকান বিজনেস ম্যাগনেট স্টিভ জবস জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু উক্তি করেছেন। সেগুলো মেনে চললে সত্যিই জীবন বদলে যেতে পারে। তিনি বলেছেন, যখন আপনি কিছু উদ্ভাবন করবেন তখন আপনার কিছু ভুলও হবে। সবচেয়ে ভালো হয় সেগুলো দ্রুত স্বীকার করে নেয়া। সেই সঙ্গে অন্য উদ্ভাবনগুলো আরো উন্নত করার কাজে লেগে যান।

স্টিভ জবস মনে করেন, ব্যবসায় চমত্কার জিনিসগুলো কখনোই একক ব্যক্তি করেন না। একদল মানুষ সেগুলো করেন। তিনি এও বলেন, কখনো কখনো জীবন আপনার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করবে। তখনো বিশ্বাস হারাবেন না।

তাহলে বুঝুন, আমরা কত সহজে হতাশ হয়ে পড়ি। আমার জানামতে, স্টিভ জবস প্রচুর বই পড়েন। ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জাকার বার্গ ও দিনের বেশির ভাগ সময় বই পড়ে কাটান। এর একমাত্র কারণ, বেশি বেশি বই পড়লে আপনার ক্রিয়েটিভিটি বাড়বে। আপনি নিজেকে বদলে ফেলা কিংবা সফলতা অর্জনের জন্য সৃষ্টিশীলতার কোনো বিকল্প নেই।

মনে রাখবেন, যে কাজই আপনি করুন না কেন তার ভেতরে সৃষ্টিশীলতা থাকতে হবে। সৃষ্টিশীল কাজ ছাড়া খুব বেশিদূর এগোনো যায় না।