“১৫ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হলেও সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১১ ব্যক্তি”

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান কন্যা সহ ৩ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত

মুফিজুর রহমান, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় শনিবার (২০ জুন) নতুন করে তিন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন- সোনালী ব্যাংক কর্মকতার্ সোবায়েত হোসেন ও থোয়াইহ্লাচিং মার্মা আর অপরজন হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহর বড় কন্যা তাকিয়া।

এছাড়া গত ১৯ জুন সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ তসলিম ইকবাল চৌধুরীর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও তিনি হোম কোয়ারেন্টেইনে থেকে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ায় এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন।

এ পর্যন্ত উপজেলায় ১৫ ব্যক্তি করোনা রোগী শনাক্ত হলেও হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে ১১ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই পর্যন্ত ৩৩৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৫ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও বাকী ৩১৯ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পজেটিভ পাওয়া রোগীর মধ্যে হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তি হয়ে ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে ক্রমন্বয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১১ জন পজেটিভ সনাক্ত রোগী।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার্ সাদিয়া আফরিন কচি জানান, এই পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ১৫ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার পর নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহনের মাধ্যমে ১১ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। বাকী ৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টেইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই ৪ জনের মধ্যে দুই সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার পজেটিভ রিপোর্ট আসায় ব্যাংক লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকের এই দুই কর্মকর্তার সংম্পর্শে আসা সকল কর্মকর্তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের কন্যা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহসহ লকডাউনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এরা ৪ জনই সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।