প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত: উখিয়ায় নতুন করে নির্মাণ হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প

বিশেষ প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে উখিয়ার থাইংখালী ১৯নং ক্যাম্প সংলগ্ন লন্ডাখালীর বনভূমির বিশাল এলাকা জুড়ে নতুন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নির্মাণের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় ও সৃজিত বাগান উচ্ছেদ করে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান বললেন, বির্তকিত ওই ক্যাম্প নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিন ঘটনাস্থল লন্ডাখালী এলাকা দিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৪ শতাধিক বাড়ীঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থানীয় গ্রামবাসী আবুল আজম (৪৫), সুরুত আলম (৩৫), সুজন (১৮) ও মাহবুবুল আলম (২৫) সহ একাধিক লোকজন অভিযোগ করে জানান, এনজিও সংস্থা একতা ও মুসলিম হ্যান্ডস প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় শতাধিক পরিবারে শত বছরের ভোগ দখলীয় ফলজ, বনজ বাগান উচ্ছেদ করে সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধূরী জানান, কতিপয় এনজিও সংস্থা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য প্রত্যাবাসন ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বণ করে বাধাঁগ্রস্থ করছে। তাদের ইন্দন যোগাচ্ছে তারা যেন মিয়ানমারে ফিরে না যায়। পাশাপাশি নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যাতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ওইসব এনজিও গুলো দীর্ঘ সময় দাতা সংস্থা প্রদত্ত অর্থকড়ি লুটপাট করতে পারে। তিনি বলেন, লন্ডাখালী এলাকায় নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণ করা হলে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বাধাঁ দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ক্যাম্প ইনচার্জ আবু ওয়াহাব রাশেদ জানান, ক্যাম্পে যাতায়াত সুবিধার উন্নয়নের জন্য এডিবি সড়ক নির্মাণ করলে অসংখ্য বাড়ীঘর সরিয়ে নিতে হবে। তাদের পুর্ণবাসনের জন্য নতুন করে বাড়ীঘর তৈরি করে রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় বাগানের ব্যাপারে ক্যাম্প ইনচার্জ বলেন, সেখানে আগের কোন প্রকার স্থাপনা বা বাগানের অস্থিত্ব বলতে কিছুই ছিল না। সম্পূর্ণ একটি পরিত্যক্ত বনভুমিতে এ বাড়ীগুলো নিমার্ণ করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেন, রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের অপেক্ষা আছে। এরই মধ্যে এডিবি ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ক্যাম্পে উন্নয়ন কাজ করবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন করে বাড়ীঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদেশে নতুন করে আর কোন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ নেই।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নতুন করে কিছু ঘরবাড়ি নির্মানের কথা আমি শুনেছি। তবে অফিসিয়ালি ১৯ নং ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণের ব্যাপারে আমার জানা নেই।