শীর্ষ বার্মাইয়া ডাকাত হাকিম বাহিনীর খোঁজে র‍্যাবের হেলিকপ্টার অভিযান

গিয়াস উদ্দিন ভূলু, কক্সবাজার জার্নাল •

টেকনাফে গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিম বাহিনীর খোঁজে হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে র‍্যাব-১৫। আকাশ পথের পাশাপাশি র‍্যাবের বেশ কয়েকটি টিম গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে।
তবে এই অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি র‍্যাব।

এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প তথা টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড় ঘিরে রোহিঙ্গা সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের অবস্থান গড়ে উঠেছে। এই সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতি ছাড়াও অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। এ সব ডাকাতদলের মূল আস্তানা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় ও অন্য পাহাড়ি এলাকায়।

৬ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বেশ কয়েকটি দূর্ঘম পাহাড়ে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। এসময় পাহাড়ে ডাকাত দলের কয়েকটি আস্তানায় অভিযান এবং বেশ কয়েকটি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানায় র‍্যাব।

এই হেলিকপ্টার অভিযানে নেতৃত্বেদেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ। উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, সিপিএসসি কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব (এক্স), সিপিএসসি স্কোয়াড কমান্ডার এডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, বিএন, সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি শাহ আলম।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন,‘ প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে ডাকাত দলের খোঁজে ড্রোনে অভিযান চালায়। পাহাড়গুলো অনেক বড় হওয়ায় ড্রোনে ডাকাত দলের সন্ধান পাওয়া খুবিই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।‘ যার ফলে এবার হেলিকপ্টার দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় হেলিকপ্টার থেকে বেশ কয়েটি দূর্গম পাহাড়ে ডাকাত দলের আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। এসব আস্তানা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। পরে এসব আস্তানায় অভিযান চালানো হবে।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন,বিশেষ করে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমসহ ডাকাত দলের বেশ কয়েকটি গ্রুপ পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে
খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে।
র‍্যাব সদস্যদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অতি দ্রুত তারা র‌্যাবের জালে ধরা পড়বে।
তিনি বলেন,গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা রোহিঙ্গা ডাকাত দলের অবস্থান চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এবার সর্ব প্রথম র‌্যাব হেড কোয়ার্টার থেকে হেলিকপ্টার এনে এই অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে। হেলিকপ্টারের সহায়তায় ডাকাতদলের আস্তানা খুজার চেষ্টা চলছে।’সন্ত্রাসীদের দমন করার জন্য র‍্যাবের সব ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর টেকনাফের বাহারছড়া গহীন অরন্যে ঘেরা টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দূর্ঘম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। এসময় তারা ড্রোন উড়িয়ে বিভিন্ন পাহাড়ে ডাকাত গ্রুপের আস্তানার তথ্য সংগ্রহ করে অভিযান চালায়। পরের দিন ২৬ অক্টোবর একই নিয়মে টেকনাফের নয়াপাড়া, শালবাগান ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বেশ কয়েকটি পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। এতে ড্রোনের সাহায্যে ডাকাত দলের চার-পাচঁটি আস্তানা ধ্বংস করা হয়।

এসব আস্তানায় গুলো ডাকাত দলের সদস্যরা অপহরণ, ধর্ষণ,ছিনতাই,মাদক কারবার করার জন্য ব্যবহার করত বলে জানিয়েছেন র‌্যাব।