উখিয়ায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের রমরমা মাদকের কারবার: হুমকিতে যুব সমাজ

এম ফেরদৌস, উখিয়া •


কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে একই দিনে চার মাদককারবারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব-১৫)।

গতকাল প্রথম অভিযানে উখিয়া সদর দরগাবিল এলাকা থেকে ৩২ ক্যান বিদেশী বিয়ারসহ হাতে নাতে লোকমান হাকিমের পুত্র মোঃ কায়েসকে গ্রেফতারের পর কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মুসা খলিলের পুত্র মোঃ আমিন ও একই ক্যাম্পের ফকির আহমদের পুত্র মোঃ আয়ুব, মইতুল হোসেনের পুত্র মোঃ ইমাম হোসেন প্রায় দশ হাজার ইয়াবা নিয়ে আটক হয়েছে।

এর আগেও রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মাদক নিয়ে আটকের খবর নিত্যাদিনের । প্রতিদিনই এরকম অনেক মাদককারবারীকে ধাওয়া দিচ্ছে এবং আটক করতেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তারপরও থেমে নেই মরণনেশা এ মাদকদ্রব্যের ব্যবসা।

গত (১৮ মে) কুতুপালং ১ নং ক্যাম্পের মীর আহমদের পুত্র মোহাম্মাদ আনোয়ার (২০) ও একই ক্যাম্পের নূর আলমের পুত্র মজিব উল্লাহ (২১) বিশ হাজার ইয়াবা নিয়ে রামু চেইন্দা এলাকায় র‍্যাবের হাতে আটক হয়।। (৬ মে) বালুখালী ক্যাম্পের সৈয়দ মোহাম্মদের ছেলে নুর হোছন (৩৩) উনিশ হাজার নয়শত পঞ্চাশ পিস ইয়াবা নিয়ে র‍্যাবের হাতে আটক হয়েছেন।

এরকম নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা পরিবহন করে আসছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে এসব মাদকদ্রব্যের চালান।

তবে অনেকেই মনে করছেন, যারা ধরা পড়ছেন তারা মূল ইয়াবা ব্যবসায়ী নন, বহনকারী মাত্র।নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া তাদের কাজ। তারা পুলিশ, র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লেও আড়ালে থেকে যান মূল ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।

সচেতন নাগরিকদের মন্তব্য,যতদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে ততদিন মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্প মাদকের আস্তানা ও বলা যায়। রোহিঙ্গারা মাদক এনে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছায়াতলে হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌছে দিচ্ছে। যারা ধরা পড়তেছে মাদক নিয়ে বেশিরভাগই রোহিঙ্গা।