কক্সবাজারে হোন্ডারোহি টিনএজার বখাটে গ্রুপের দৌরাত্ম্য

বিশেষ প্রতিবেদক :

হেলদি শহর খ্যাত কক্সবাজারে ভয়ানক শব্দ দূষণে জড়িত এরা কারা ? উচ্চ শব্দ মাত্রার দ্রুতগতির মোটর সাইকেল নিয়ে টিনএজার হোন্ডারোহি এসব তরুণরা কক্সবাজারের পরিবেশ বিষিয়ে তুলছে। প্রত্যহ সমান তালে শহরে এসব হোন্ডারোহি বখাটে সিন্ডিকেট কানজ¦ালা করা শব্দের বাহাদুরি দেখিয়ে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে পুরো শহরে।

বিশেষ করে কক্সবাজার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার সরকারী মহিলা কলেজ, সিটি কলেজ ও কক্সবাজার সরকারি কলেজ গেইট কেন্দ্রিক সক্রিয় এসব হোন্ডারোহি ইভটিজার- টিনএজার গ্রুপ। শহরের গোলদিঘীর পাড়, শহীদ সরণী, হাসপাতাল সড়ক ও স্টেড়িয়াম পাড়ার আশপাশেও সক্রিয় প্রায় ডজন দু’য়েক হোন্ডা নিয়ে কালো চশমার ৪০/৫০ সদস্যের পৃথক বখাটে চক্র। অধিক সিসির এসব হোন্ডার অধিকাংশই লাইসেন্স বিহীন কিংবা অন-টেস্ট লেখা সম্বলিত। আবার ৪/৫ চক্রের রয়েছে চোরাই হোন্ডা। প্রত্যহ সকালে স্কুল-কলেজ শুরুর সময় এবং দুপুরে ছুটির সময় ছাত্রীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে এদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে বেড়ে যায়।

সূত্র জানায়- শহর ও শহরতলির ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম নেয়া পরিবারের অবাধ্য বখাটে তরুণরা মোটর সাইকেলের উচ্চ ভলিউম কিংবা গেয়ার শব্দ দূষণের মাধ্যমে পুরো শহরে তাদের বাপ-দাদার তালুকদারি কায়েম করেছে। আবার অনেকে আছে সন্ত্রাসী কাজে ভাড়ায় খাটা টোকাই। শহরে শব্দ ও গতির সন্ত্রাস কায়েম করা এদের দেখেও না দেখার ভান করে এসব দেখ-ভালোর দায়িত্বে থাকা কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।

অভিযোগ রয়েছে-এলাকা ভিত্তিক সরকার দলীয় নেতার আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে, রাজনৈতিক রং লাগিয়ে তারা দ্রুতগতি ও প্রচন্ড শব্দ করে ঘুরে বেড়ায়। ফলে অহেতুক ঝামেলা এড়াতে পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধু তাই নয়-চক্রটির ৪/৫টি গ্রুপ এসব হোন্ডা নিয়ে শহর ও শহরতলিতে ছিনতাই ও ইয়াবা পাচারের মত জঘন্য অপকর্মে জড়িত।

এদিকে কক্সবাজারেরসচেতন মহলের মতে-এদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের কাছে সোপর্দ করা না গেলে কক্সবাজারের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটতে পারে।