উন্মুক্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন শিল্প: মানতে হবে ৬৫ শর্ত

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল ◑ 
বিশ্ব মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো অাজ ১৭ অাগস্ট সীমিত অাকারে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও প্রশাসনিক নির্দেশনা না মানলে অাইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় প্রশাসন।

এতে হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা খুশি হওয়ার পাশাপাশি পর্যটকদের বরণে নিচ্ছেন নানা প্রস্তুতিও।

এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি ও প্রশাসনিক নির্দেশনা মেনে চলতে ট্যুরিস্ট নিয়েছে নানা প্রস্তুতি। এ নিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যে বা যারা স্বাস্থ্যবিধিসহ প্রশাসনিক নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র মতে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বন্ধ ছিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলো। এতে পর্যটকদের আনাগোনার পাশাপাশি বন্ধ ছিল সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল, ৫ শতাধিক রেস্টুরেন্ট এবং ৫ হাজারের বেশী পর্যটন সংশ্লিষ্ট দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে স্থবির হয়ে পড়ে পুরো পর্যটন শিল্প; বেকার হয়ে অন্তত ১০ সহস্রাধিক পর্যটন ব্যবসায়ি ও কর্মচারী। আর পর্যটন খাতে ক্ষতি হয় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। এ পরিস্থিতিতে গত ৫ আগস্ট ভার্চুয়াল প্লাটফরমে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের এক সভা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যবসায়িদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, স্বাস্থ্যবিধি ও প্রশাসনিক কিছু নির্দেশনা মানার শর্তে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়ার। তৈরী করা হয়ে বিভিন্ন পর্যটন খাতের জন্য ৬৫ টি নির্দেশনার।

এদিকে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে দারুণ খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ি ও কর্মচারীরা। ইতিমধ্যে তারা নানা প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানা ও প্রশাসনিক নির্দেশনা বাস্তবায়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, অসুস্থ হয়ে পড়া পর্যটকদের চিকিৎসা সেবা প্রদানেরও।

জেলা মো. কামাল হোসেন বলছেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকরাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িদের মধ্যে যারা স্বাস্থ্যবিধি এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এসব বাস্তবায়নে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা মাঠে তৎপর থাকবেন।