কলাতলীতে সংস্কার না হতেই নালার উপরে অবৈধ দোকান, পানি চলাচল ব্যাহত

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল

পর্যটন নগরী কলাতলী এলাকার হোটেল সী-প্যালেসের সামনে থেকে তোলা

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় হোটেল সী প্যালেসের সামনে ড্রেন সংস্কার হতে না হতেই দখলবাজি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ওই এলাকায় পৌরসভার নালা উপরে প্রায়ই ১০টি মতো ভবন, দোকান ও হোটেল এর সামনে নালার উপরে অবৈধভাবে স্থাপনা নিমার্ণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দখলবাজেরা। এর ফলে পর্যটন নগরীর সৌন্দর্য নষ্টের পাশাপাশি নালা সংকোচিত হয়ে পানি চলাচল চরমভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। যে করনে তৈরী হয় জলাবদ্ধতা। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটক ও পৌরবাসীকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হোটেল সী প্যালেসের সামনে প্রধান সড়ক থেকে হোটেল হিল টাওয়ার রেস্তোঁরা পর্যন্ত নালার উপর ১০টির অধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এর কারণে একদিকে পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য নষ্ট, অন্যদিকে পানি সহজভাবে চলাচল-সহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে নালার উপরে অবৈধ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে, বিছমিল্লাহ স্টোর, মনজুর ভাতঘর এন্ড বিরানী হাউসের দুইটি শাখা, মা, এন্টারপ্রাইজ, সেলুন, নিউ ঢাকা রেস্তোরা এন্ড বিরানী হাউস, আইবিচ রেস্তোরা এন্ড বিরানী হাউস ওবিছমিল্লাহ রেস্তোঁরা এন্ড বিরানী হাউস। এভাবে ড্রেইন দখল করে স্থাপনা নির্মাণ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।

এছাড়াও শহরের বেশিরভাগ রাস্তা ও ফুটপাত অসাধু ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। বাধ্য হয়ে পথচারিসহ পর্যটকেরা রাস্তায় চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। এ কারণে রাস্তায় যানজটসহ প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় অসংখ্য দূর্ঘটনা। পৌরসভা ও প্রশাসনের নজরদারিতে মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চোঁখে পড়ে। তবে ১/২ দিনের ব্যবধানে আবারও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা ফেদে বসে তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাব বিস্তার করে এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি পৌরসভার নালার উপরই সবচেয়ে বেশি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। যেখানে পৌর প্রশাসন উচ্ছেদে গেলেই বাঁধা কিংবা উপর মহলে তদবীর করে বসে। কেউ কেউ আবার নানা অজুহাতে মামলা মুকাদ্দমা করে ঝুলিয়ে রাখে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান। এতে করে বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়না। বিশেষ করে এলাকার প্রভাবশালীরা এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে খুব বেশি। অনেকেই আবার নালা দখল করে দোকান নির্মাণ করে তা ভাড়া দিয়েও টাকা আয় করছে। তারা অভিযোগ করেন পূর্বেই এর পেছনে সরাসরি পৌর কর্তৃপক্ষের কিছু লোক জড়িত ছিলো।

নালার উপর অবৈধ স্থাপনার কথা জানতে চাইলে বিছমিল্লাহ রেস্তোঁরা এন্ড বিরানী হাউসের মালিক বলেন, কলাতলীর বিভিন্ন স্থানে অনেকেই নালা দখল করে দোকান করছে। তাদের যে অবস্থা হবে আমারও তাই হবে। তবে আমরা প্লটের মাথা হিসেবে নালা ব্যবহার করছি।

এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, পর্যটন নগরী কলাতলীর অনেক স্থানেই নালার উপর অবৈধভাবে স্থাপনা নিমার্ণের কথা শুনেছি। অতি-সত্তর যারা নালা ও পৌরসভার জায়গা দখল করে স্থাপনা নিমার্ণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। এছাড়াও কেউ পৌরসভার নালা ও জায়গা দখল করে দোকান কিংবা বাড়ি নির্মাণ করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। সে ক্ষেত্রে দখলবাজ যতোই প্রভাবশালী হোক না কেন আইনের আওতায় আসতেই হবে।