চোরে শুনে না ধর্মের কাহিনী!

বাহা উদ্দিন বাহার ◑
মন্ত্রানালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে বরখাস্ত করা লাগছে আমাদের। চোর হিসেবে সরকারী স্বীকৃত পাচ্ছি তবুও লজ্জিত নই।

৩ চাল চোর বরখাস্ত, ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ১ ইউপি চেয়ারম্যান ও ২ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। আজ এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আমরা কেমন জীব, কেমন হয়ে যাচ্ছি দিনদিন। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব কিন্তু আজ আমরা মনুষ্যত্ব হারিয়ে কিসের নেশার, কিসের আশার মত্ত হচ্ছি। এখন মানুষের প্রয়োজনের বাইরে ধন-সম্পদ যুগানে মহা ব্যাস্ত।

বিশ্ব এক মহামারি তে লক্ষাধিক মানুষ মারা যাওয়ার পর মানুষের হোশ নাই। আমরা খেটে-খাওয়া মানুষের অন্ন চুরি করছি নিজের আরাম আয়েশের জন্যই। কিন্তু একবার ভাবছি না যে মানুষ গুলো করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই শেষ বারের মতো বের হচ্ছে নিজের সাজানো ঘর থেকে। আবার অনেকে বের হচ্ছে অনিশ্চিত ভবিশ্যতে।

কি হবে অবৈধ পথে আয় করা এই ধন-সম্পদ। মরার পরেও তো মানুষ বলবে চোরের জানাজা বা সৎকার কর আসলাম। রেখে যাওয়া প্রজন্ম কে আজীবনের জন্য মানুষের গালির খোরাক বানিয়ে দিয়ে যাচ্ছি না তো!!!

আমরা বাঙালী রা খুবই ধর্মপরায়ণ। যার যার ধর্ম পালনে কতো আয়োজনেই করি। কিন্তু মানব সেবা ও যে ধর্ম তা আমরা ভূলতে বসেছি। আল্লাহ কে পেতে মানুষ কে ভালোবাসা প্রয়োজন। মানুষের ভালোবাসাই পরম ধর্ম। জন প্রতিনিধি মানেই জনগনের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা, আর সেই জাগায় বসে আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি জনগনের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ নিজের তহবিলে জমানোর। জনপ্রতিনিধিত্ব হলো জনগনের উপকারে নিজেকে সর্বোচ্চ বিলিয়ে দেয়া। আর আমরা করছি ঠিক তার বিপরীত। আমাদের সুমতি হোক। সরকারি বরাদ্দ যতা সময়ে মানুষের মাঝে বন্টন করে নিজের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়।