পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠির জবাব দিয়েছে মিয়ানমার

বাংলা ট্রিবিউন •

গত তিন বছরে একজন রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি মিয়ানমারে। এ কারণে চলতি বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তাগাদা দিয়ে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী চ টিনকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সম্প্রতি সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন চ টিন। জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী চ টিন তার জবাবে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তার দেশ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যেকোনও দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের সমাধান করতে চায়।’ ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চ টিন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো আমিও মনে করি, করোনা মহামারির কারণে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জাতির মধ্যে পারস্পরিক সংহতি ও সহযোগিতা প্রয়োজন।’ পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়টিও মিয়ানমারের মন্ত্রী উল্লেখ করেন।