ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা

অনলাইন ডেস্ক • ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলাররা। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ফিরতি ম্যাচ খেলতে গতকাল রাতে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০২১ ফ্লাইটে করে ওমানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ফুটবলাররা। কিন্তু বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দেয়ায় আকাশে ওড়ার প্রায় একঘণ্টা পর ফ্লাইটটি ঢাকায় ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হন পাইলট। ফলে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান মামুনুল ইসলাম, আশরাফুল রানারা।

জানা যায়, রাত সাড়ে ৯ টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান ফুটবলার ও কর্মকর্তারা। বোর্ডিং ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ হওয়ারও দুই ঘণ্টা পরে বিমান ছাড়ে। এমনিতেই যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলে বিমানটি দেরিতে ছাড়ে। কিন্তু এক দফা সমস্যাগুলো সমাধান করে বিমানটি আকাশে ওড়ার পরও শুরু হয় আরেক দফা যান্ত্রিক ত্রুটি।

ওই সময় আকাশে ওড়া অবস্থাতেই বিমানে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দেয়।

শেষ পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর বাধ্য হয়ে পাইলট বিমানটি ঢাকায় ফেরত নিয়ে আসে। অবশ্য বাংলাদেশ দলের সব ফুটবলার ও কর্মকর্তারা সুস্থ আছেন।
এই সময় বিমানে থাকা ফুটবলাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেন। আজ আরেকটি ফ্লাইটে সকাল ১০টায় ওমানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।

গতকালের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের গোলরক্ষক আশরাফুল রানা। তিনি বলেন, আমাদের বিমানের ফ্লাইট ছিল কাল রাতে। কিন্তু বিমান ছাড়ছে না দেখে আমরা কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করি কী সমস্যা হয়েছে? উনারা জানান, একটু টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটা ঠিক হলেই আমরা উড্ডয়ন করবো। আমরা এরপর প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিমান বন্দরে বসে থাকি। এরপর বিমানে ওঠার পর প্রায় ৪৫ মিনিট পর আবারও বাংলাদেশে ফিরে আসি। বিমানের ভেতরে বসেই দেখতে পাই বিদ্যুৎ চলে গেছে বিমানের। এটা দেখে আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই। ক্যাপ্টেন বলছিলেন এভাবে বিমান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তিনি আবারও বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন বিমান। আল্লাহর রহমতে বড় একটা দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছি আমরা। সত্যি আমরা সবাই ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।

বাংলাদেশ দল আগামী ১৪ই নভেম্বর ওমানের আল সিব স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চতুর্থ ম্যাচটি খেলবে। সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এত আগে ওমান যাওয়া বাংলাদেশের।