রামুতে বাঁকখালী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের হিড়িক, উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

রামু প্রতিনিধি •


কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের একটি অবৈধ বালুমহালে অভিযান চালিয়েছে রামু উপজেলা প্রশাসন। সোমবার, ৬ জুন বিকেল ৩টায় রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমা এই অভিযান চালান।

অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে চাকমারকুল বাঁকখালী নদীর এই বালুমহালের পাশের একটি বাড়ি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন, নল ও বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

অভিযান শেষে সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমা জানান, বৈধ ইজারাদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এভাবে নিয়মিত অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া এসব অবৈধ উত্তোলনের বিষয়ে সাধারণ মানুষ যাতে সজাগ থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলেন ভূমি কমিশনার।

এদিকে অভিযানের সময় চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার ও রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার বলেন, বাঁকখালী নদীর এই অংশে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে ও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বালু তুলছে একটি মহল। আগে ভাগে অভিযানের খবর পেয়ে তারা সেলু মেশিন পাশের একটি বাড়িতে রেখে পালিয়েছে। এখন আমার জিম্মায় এই বালুমহাল দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে বৈধভাবে ইজারা নিলেও অনেক ইজারাদারও শর্ত ভেঙে বালু তুলছেন। সেলু মেশিন ও ডিজিটাল ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালুতে তুলতে দেখা গেছে বাঁকখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে।

বাঁকখালী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে এর আগেও বিভিন্ন দফায় নদী ভাঙন হয়েছে গর্জনিয়া, কাউয়ারখোপ ও রাজারকুলের কয়েকটি অংশে। তাছাড়া ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কারণে নদীতে অগভীর গর্ত তৈরি হওয়ায় অনেক শিশু ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।