সৌদি আরবে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা, এক বছর পর আসামি গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক •

প্রায় এক বছর পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইয়াবা পাচার–চেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আসামির নাম মো. আসাদুল্লাহ। তিনি একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম আহমেদ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত নয়টার কিছুক্ষণ আগে মো. আসাদুল্লাহকে দক্ষিণখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রায় এক বছর ধরে তিনি কখনো তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহে, আবার কখনো ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলেন। গত বছরের ১৭ অক্টোবর মেসার্স সিয়াম অ্যান্ড সোনি নামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পাঠানো সোয়েটারের কার্টনে তিনি ৩৮ হাজার ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করেছিলেন। ওই প্রান্তে কার্টনগুলোর প্রাপক ছিলেন সৌদি আরবের রিয়াদের আবদুল আজিজ আল মোশাররফ।

এ ঘটনায় আগেই সিয়াম অ্যান্ড সোনির মালিক মো. জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার হন। কর্মকর্তারা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ পুরোনো। আসাদুল্লাহ কোনো সিন্ডিকেটের অংশ কি না বা এই কাজে তাঁকে আরও কেউ সহযোগিতা করেছে কি না, সে ব্যাপারে তাঁরা খোঁজখবর করবেন।

গত বছর ওই চালানটি জব্দ করার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আজাদুল ইসলাম ছালাম বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি লেখেন, শাহজালাল রপ্তানি কার্গো ভিলেজের ৩ নম্বর স্ক্রিনিং কক্ষে স্ক্রিনিং করার সময় সন্দেহজনক দুজন ব্যক্তিসহ ইয়াবাগুলো পাওয়া যায়। তিনটি কার্টনে ৭৬টি সোয়েটারের আড়ালে ওই ইয়াবা পাচার করা হচ্ছিল।

কর্মকর্তারা জানান, সৌদি আরবগামী একটি উড়োজাহাজে ইয়াবাগুলো পাঠানোর চেষ্টা ছিল। সোয়েটারগুলো যে রঙের, সেই একই রঙের কাগজে মুড়িয়ে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। যেভাবে ওগুলো পাচার করা হচ্ছিল, তাতে মনে হয়েছে আগেও একই উপায়ে তাঁরা পাচার করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

ওই দিন ঘটনাস্থল থেকেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের সহযোগিতায় কার্গো লোডারদের গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকেই আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল। তবে এরপরও নানা প্রক্রিয়ায় ইয়াবা পাচারের চেষ্টা চলে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে ইয়াবা পাচার হচ্ছে। ইয়াবা পাচার বন্ধে বাংলাদেশের একাধিক মন্ত্রণালয় বৈঠকেও বসেছিল।